চাঁদার মাঠ ছাপিয়ে বিএনপি এখন গিলে খাচ্ছে সাদা পাথর, প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকার
চাঁদার পাশাপাশি বিএনপি এখন সাদা পাথর গিলে খাচ্ছে। খেতে খেতে একদম মরুভুমি বানিয়ে ফেলছে। ভাগ্যিশ ব্রাজিলে বিএনপির কোন শাখা নেই। থাকলে তো তারা পুরো আমাজন জঙ্গল খেয়ে একেবারে মরুভুমি বানিয়ে ফেলতো।
![]() |
. বিএনপি এখন গিলে খাচ্ছে সাদা পাথর |
যুবদল নেতা নয়ন এবার বলতেই পারেন, "তারেক রহমান জানেন নাকি? পাথর-খেকোদের নেতা আপনি?"
সবাই পাথর চুরের সমালোচনা করলেও ভালো দিকগুলো কেউ দেখে না। এতো এতো পাথর তুলতে নিশ্চয়ই হাজার হাজার লোক কাজে লেগেছে। তাহলে তাদের কর্মসংস্থানও হয়েছে। ক্ষমতায় আসার আগেই হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান করতে পারলে ক্ষমতায় এসে বিএনপি নিশ্চয়ই লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করবে এটা চোখবুঁজে বিশ্বাস করাই যায়।
তাছাড়া বিএনপি সবগুলো পাথর বিক্রি করছে না। কিছু রেখে দিছে হজের মৌসুমে আরাফাতের ময়দানে শয়তানের দিকে ছোঁড়ার জন্য। তাহলে এবার থেকে হজের জন্য সৌদি আরব আর যাওয়া লাগবে না। দেশে থেকেই শয়তানের দিকে পাথর ছোঁড়া যাবে। বিএনপির এই পাথর বানিজ্যের ফলে দেশের তরুন উদ্যোক্তারা বেশ উপকৃত হবে বলে আশা করা যায়। তারা নতুন ধারণা পাবে কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা যায়।
বিএনপি ক্ষমতায় আসা মাত্রই দেশের প্রতিরক্ষা এবং সার্বিক অবস্থা কয়েক ধাপে এগিয়ে যাবে। কারন অন্য দেশের আছে মিসাইল, বিএনপির আছে দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির অভিনব কৌশল এবং সাদা পাথরের আকর্ষণীয় পাথরগুলো। সাদা পাথরের ভয়ে ভারতের রাফায়েল জেট, পাকিস্তানের সেভেন্টিন থান্ডার জেট বাংলাদেশকে আলাদাই সম্মান দেবে। এতোগুলো আকাশ পথের শক্তি, নতুন পথেও বিএনপি বাংলাদেশকে সেরাদের সেরা করে তুলবে।
কেননা বিএনপির জীবন্ত কিংবদন্তী জনাব শামসুজ্জামান দুদুর মূত্র বিসর্জনের সামনে টিকতে পারবে এমন সাবমেরিন এখনো পৃথিবীতে আবিস্কারই হয়নি। সংবাদমাধ্যম বলছে মোট দশ হাজার কোটি টাকার পাথর চুরি হয়েছে। এবং এতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত স্থানীয় বিএনপি নেতারা। কেননা আট হাজার কোটি বা বারো হাজার কোটি না হয়ে দশ হাজার কোটি টাকার পাথর চুরে হলো তা কি ভেবে দেখেছেন?
কারণ দশ হাজার কোটি থেকে ১০% বের করতে সুবিধা হবে। ১০% প্রসঙ্গে দেশনেতার কথা মনে পরলো। এটাও মনে হলো একমাত্র তার হাতেই দেশ নিরাপদ, গতি হারাবে না বাংলাদেশ। শিগরই তিনি নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি কর্মীরা তাই শ্লোগান দিচ্ছে; "মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে।" প্রশ্ন হলো গত ষোল বছর কি মা-মাটি ডাকেনি? তিনি পৃথিবীর একমাত্র দেশনেতা যিনি দেড় যুগ ধরে নিজ দেশে নেই। প্রবাসে তাকলেও তিনি একজন ভিন্ন ধরণের প্রবাসী। সাধারনত প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠান, কিন্তু তিনি উল্টো দেশ থেকে টাকা নেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
তাছাড়া তারেক রহমান হলেন সেই বিরল ক্যাটাগরির দেশনেতা যিনি এখনো নিজ দেশেরই ভোটার হননি। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়। ওই সমায় তারেক রহমান লন্ডনে ছিলেন। তাই ভোটার হতে পারেন নি। লন্ডনের নির্বাচন অফিসে এসে তারেক রহমান ভোটার হতে পারবপ। এই জন্য তার সাক্ষর, চোখের আইরিশ ও দশ আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এখানেও দশ সংখ্যা বিদ্যমান।
যারা ভূত-প্রেত বা অলৌকিক জিনিসে বিশ্বাস করেন না তারা তারেক রহমানকে দেখতে পারেন। কেনোনা ঢাকা থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে বসে তিনি জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বা নায়ক। তবে ভিডিয়ো কলের যুগে বিষয়টাকে অযৌক্তিক বলা যায় না।
তাছাড়া উত্তাল জুলাইয়ে দেশের মাটিতে ছিল রাকিব ও নাসিরের মতো বীর সন্তানেরা। মেসিডোনিয়ার বীর ছিলেন আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট। ফ্রান্সের ছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। বাংলাদেশের আছে সেক্টর কমান্ডার রাকিব মেজর নাসিরের মতো বীর পালোয়ান।
যুবদলের বখে যাওয়া কর্মী নয়নের কথা আলাদা ভাবে বলতেই হয়। "তারেক রহমান জানেন নাকি, পাঁচ আগস্টের নায়ক আপনি" - এমনটাই নয়নের দাবি। এই দাবির ছোঁয়ায় ইমোতে ভিডিয়ো কলে বাবা হয়ে যাওয়াটা সম্ভবত বেশি যৌক্তিক।
এদিকে সিলেটের সাদা পাথরে পাথর চুরির ইস্যুতে অনেকেই শঙ্কিত। ক্ষমতার গদিতে বসার আগেই বিএনপি এমন শুরু করলে ক্ষমতায় বসার পর না জানি কি করবে, এমনটাই ভাবছেন জনগণ।
তারা জানে না ছিয়ান্ন বছরের ইতিহাসে ফুটবলে ব্রাজিল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন আর মাত্র পাঁছ বছরে বিএনপি ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। ব্রাজিলের সাথে বিএনপির এটাই পার্থক্য।
তাছাড়া হুট করেই কোন দেশে সিনেমা মুক্তি পায় না। আগে ট্রেলার দেখায়। বিএনপির সম্ভবত মূল সিনেমার আগের ট্রেলার দেখাচ্ছে। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন। জীবনসঙ্গী হিসেবে আমাদের সবার জীবনে একজন বিএনপি নেতা বা নেত্রীকে তো দরকার। কেননা যারা পাথর খেয়ে থাকতে পারে তারা আমাদের জীবনের সকল সমস্যাগুলোও খেয়ে ফেলবে। তাই আজই বাড়ীতে জানিয়ে দিন, জীবন সঙ্গী এবং একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো কথা নাই। ◾