মুসলিম বিরোধী বিতর্কিত ওয়াকফ আইন বাতিলে সুপ্রিম কোর্টে থালাপাতি বিজয়

ভারতের বিধানসভায় সদ্য পাস হওয়া বিতর্কিত মুসলিম বিরোধী ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দানা বাঁধছে। এর পাশাপাশি ভারতের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিল করার দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। এরই মধ্যে জানা গেল- তামিলনাড়ুর রাজনীতির নতুন শক্তি চলচ্চিত্র তারকা থালাপতি বিজয় এই ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন।

মুসলিম বিরোধী বিতর্কিত ওয়াকফ আইন বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন থালাপাতি বিজয়

তামিলাগা ভেত্তেরি কাজগাম পার্টির প্রধান তথা তারকা অভিনেতা বিজয়, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা নতুন ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন 

ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছেন। নতুন এই বিতর্কিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনেও নামছেন থালাপাতি বিজয়। 

নতুন ওয়াকফ আইন গণতন্ত্র বিরোধী আগেই বলেছিলেন, ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বড় এই তারকা-নেতা বিজয়। তিনি মুসলিম বিরোধী রাজনীতির অভিযোগও করেন বিজেপির বিরুদ্ধে 

এনডিটিভির খবরে জানা গেছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ওই রাজ্যের হাজার হাজার বিতর্কিত ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করার জন্য উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে। ভারতে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি মুসলমানদের ওয়াকফ সম্পত্তি আছে ।

গত বৃহস্পতিবার মুসলিমদের সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমায়ে হিন্দ, কলকাতায় এক বিশাল সমাবেশ থেকে এই আইন বাতিল করার দাবিতে কমপক্ষে এক কোটি মানুষের স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এর আগে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গেরই মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুর এলাকায় ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, বিক্ষুব্ধ জনতা হাইওয়ে অবরোধ করে ও পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়- সেই সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হন।

ভারতের একমাত্র মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতিও ঘোষণা করেছেন ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে এবং আইনটি বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন থামবে না। তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু কিছু বিরোধী শাসিত রাজ্য প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছে তারা বিতর্কিত ওই নতুন আইনটি তাদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেবে না।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫ পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দেন এবং এরপর বিলটি দেশের আইনে পরিণত হয়।একাধিক এমপি ও সিভিল রাইটস গোষ্ঠী সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন এখন বিলটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বর্ণনা করে সেটি বাতিল করার দাবিতে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url