গরুচোর অপবাদে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বনাথে সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জন কারাগারে, প্রধান আসামি পলাতক
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে ১৪ বছর বয়সী এক শিশুকে গ্রীলের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের মামলায় দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 |
| | শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বনাথে সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩ জন কারাগারে, প্রধান আসামি পলাতক |
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ হেফাজতে পাঠানো তিন আসামি হলেন; বিশ্বনাথ উপজেলার কালিজুরি ইউনিয়নের মটুককুনা গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য লায়েক আহমদ (৩৫), সদরপুর মটুককুনা গ্রামের কাহানুর মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (৪৫), একই গ্রামের বাসিন্দা জলিল মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (৩২)।
এ মামলার প্রধান আসামি নানু মিয়া (৩৫) ও ৫ নম্বর আসামি বারিক মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইদিআমিন লিওন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রুহেল মিয়ার ছেলে অলিউর রহমানকে (১৪) গরুচুরির অপবাদে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। তাকে সাবেক চেয়ারম্যান লায়েক আহমদের বাড়িতে গ্রীলের সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
১৮ মার্চ ভুক্তভোগীর মা জলি বেগম বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: ১২)। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হলে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক বৃহস্পতিবার ছিল আত্মসমর্পণের শেষ দিন।
এই নির্মম নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ঘটনার দিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সিলেটসহ দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। একদিকে একজন ইউপি মেম্বার যিনি সাধারণ মানুষের সেবা করার দায়িত্বে ছিলেন, তিনিই একটি শিশুর ওপর এ ধরনের নির্মমতা চালিয়েছেন—এতে প্রশ্ন উঠছে গ্রামাঞ্চলে ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “শিশু অধিকার আইন” লঙ্ঘন হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনার দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন, নইলে এরকম অপকর্ম বারবার ঘটতেই থাকবে।
খবর: শ্যামল সিলেট, সিলেটভিউ২৪.কম
Sayeed Al Islam
