সিলেটে আসন্ন কুরবানিতে চাহিদার থেকে পশু সরবরাহ বেশি

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য সিলেটে এবার চাহিদার থেকে বেশি পশু রয়েছে। সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, প্রাথমিক হিসাবে সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫০০। এবার চাহিদা কিছু কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বিপরীতে খামারিদের কাছে মজুত আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি পশু। এ হিসাবমতে ৩৭ হাজারের বেশি পশু এবার মজুত রয়েছে।

| সিলেটে আসন্ন কুরবানীতে চাহিদার থেকে পশু সরবরাহ বেশি

সিলেটে এবার কোরবানির পশু বিক্রির জন্য ৭৪টি অস্থায়ী পশুর হাটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৬২টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হলেও মহানগর এলাকায় ১২টি হাটের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের তথ্যমতে, চাহিদা অনুযায়ী এবার সিলেটে কোরবানির পশু সংকটের আশঙ্কা নেই। খামারিদের কাছেও পর্যাপ্ত পশু আছে। গৃহপালিত পশুর সংখ্যাও কম নয়। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু আসে সিলেটে। ফলে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া হাটে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, সিলেটের অনেক প্রবাসী বড় গরু কোরবানি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্থানীয়ভাবে এমন গরুর সংখ্যা কম থাকলেও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের অনেক গরু বরাবরের মতো এবারও সিলেটে আসবে বলে ধারণা করছেন তারা।

প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত তিন লাখ ৯ হাজার গবাদিপশু। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৩৬৮টি বলদ, ৩৭হাজার ৩৯২টি গাভি, ৫ হাজার ৪২০টি মহিষ, ৭৭ হাজার ৬৪৬টি ছাগল, ২৪ হাজার ১৪টি ভেড়া ও ৯১৯টি অন্যান্য পশু রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদুল আজহা এলে সরকারি অনুমোদিত হাটের নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকলেও অননুমোদিত হাটের ছড়াছড়ি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যেহে বর্তমানে ক্ষমতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তাই এবার অস্থায়ী পশুর হাটের বাইরে 'সিন্ডিকেটের হাট' যত্রতত্র বসে ক্রেতাদের হয়রানি করবে না বলে জনসাধারণ প্রত্যাশা করছে। তবে ইতোমধ্যেই পশুর হাটের সিন্ডিকেটরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সামনে রেখে হাট বসানোতে তোড়জোড় চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট জেলার ১৩ উপজেলা ও ৪ পৌরসভায় ৬২টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার সিসিকের পক্ষ থেকে নগরীর ১২টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি চেয়ে আবেদন পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোদন পেলেই সিসিকের পক্ষ থেকে ইজারার অনুমোদন দেওয়া হবে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, নগরে ১২টি হাটের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সদর উপজেলায়ও ১০টি পৃথক হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের হাটের সঙ্গে সমন্বয় করে সদর উপজেলার হাটের স্থান নির্ধারণ করা হবে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার বলেন, ইতোমধ্যে জেলার ৬২ স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মহানগর এলাকার ১২টি পশুর হাটের আবেদনের বিষয় এখনো যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর জেলা প্রশাসক অনুমোদন দেবেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা তাদের স্ব-স্ব উপজেলার হাটের ইজারা ও বেচাকেনা শুরুর সময় নির্ধারণ করবেন।

Next Post Previous Post
📢 আপনার ব্র্যান্ড/প্রতিষ্ঠানের কথা জানুক হাজারো অনলাইন পাঠক আজই বিজ্ঞাপন দিন 🛍️