স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে, প্রতিকূল পরিবেশে নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রতিষ্ঠান 'স্টারলিংক' এর সকল কার্যক্রম।

প্রতি মাসে মাত্র ৪২০০ টাকা খরচে দেশের যেকোনো প্রান্তে বসেই এখন থেকে পাওয়া যাবে নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা। 

| স্টারলিং আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে

রয়েছে দুটি আকর্ষণীয় আবাসিক প্যাকেজ, যার ফলে গ্রাহকেরা অনন্য এক অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পারবেন বলে দাবী করছেন সংশ্লিষ্টরা । 

প্রাথমিক পর্যায়ে স্টারলিংক বাংলাদেশে দুটি আবাসিক প্যাকেজের মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে।

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চল এখনো ফাইবার অপটিক কিংবা ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসেনি, সেখানে স্টারলিংক হতে পারে একটি কার্যকর সমাধান। পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল, সীমান্তবর্তী এলাকা কিংবা দুর্গম গ্রাম—এইসব জায়গায় সহজেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগের জন্য স্টারলিংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি পরিষেবা নেওয়া যাবে। এর পাশাপাশি বিটিসিএলের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকেও সংযোগের আবেদন করা যাবে বলে জানা গেছে। তবে এখনো সারাদেশে স্টারলিংকের শাখা চালু হয় নি।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টারলিংক হয়তো সবার জন্য নয়, তবে যারা প্রত্যন্ত এলাকা বা বিকল্প উপায়ে সংযোগ চান, তাদের জন্য এটি হবে আদর্শ সমাধান। এ প্রযুক্তি ব্যায়বহুল ও ডিজিটাল বৈষম্য তৈরি করতে পারে বলে আশংকা করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছরের ১৩ মে (মঙ্গলবার) থেকে বাংলাদেশে স্টারলিংক পরিক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।

আবাসিক সাধারণ প্যাকেজে ৪২০০ টাকা এবং আবাসিক নিয়মিত প্যাকেজে ৬০০০ টাকা খরচ করতে হবে প্রতি মাসে। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন যন্ত্রপাতির খরচ পরবে ৪৭-৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত দ্রুত গতির ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।

Next Post Previous Post