ভাঙচুর উৎসবে যোগ দেওয়ার আগে সাবধান হোন, পরবর্তী ইজরায়েল আপনার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে

ভাঙচুর, ঘেরাও আর যেমন খুশি তেমন ভাঙোর উৎসবে যোগ দেওয়ার আগে মাথায় রাইখেন, পরবর্তী ইজরায়েল আপনার পাশে। আর পরবর্তী ফিলিস্তিন আপনার দেশটাই হতে যাচ্ছে।

ভাঙচুর খেলার আগে সাবধান! পার্শ্ববর্তী ইসরায়েল আপনার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে

মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার দূর করার সামর্থ্য আমাদের নাই। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ক্যান্সার দূর করার সামর্থ্য আমাদের অর্জন করতে হবে। 

আজকে আপনার ভাঙচুর, আপনার কালো পতাকা সবকিছুই আপনার শরীরে ক্ষত তৈরি করতেছে। সেই ক্ষত দিয়েই প্রবেশ করবে দক্ষিণ এশিয়ার ভাইরাস, নব্য ইজরায়েল। 

আজ পৃথিবীর সব দেশে প্যালেস্টাইনের পক্ষে আন্দোলন হয়েছে। সবচে বেশি মানুষ কোথায় নেমেছে জানেন? আমেরিকাতে। যতই গালিগালাজ করেন, ওদের সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়াতে কখনোই দেরি করে না। 

আন্দোলন দিল্লিতেও হয়েছে। সেইটা কিসের আন্দোলন জানেন? 

ইজরায়েলের পক্ষে। পৃথিবীর একটা দেশের মানুষই এখনও ইজরায়েলের পক্ষে মাঠে নামছে। সেইটা আপনার পাশের দেশের মানুষ।

এরা যেদিন বাগে পাবে, সেইদিন আমার আপনার অবস্থাও ওরা ফিলিস্তিনের মতো করবে। 

আপনার পাশের দেশের মানুষ হাসতে হাসতে জেনোসাইড নিয়ে মজা করে, ইজরায়েলের পক্ষে স্লোগান দেয়, আপনার ভয় হয় না? 

আপনার মনে হয় না যে এই সাইকোরা আমাকে আপনাকে সুযোগ পাইলে কী করবে? 

সুতরাং, সাবধান হন। সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। 

অর্থনীতি উন্নয়ন না হলে সামরিক উন্নয়ন হবে না। আর সামরিক শক্তি না থাকলে আমাদের কে বাঁচাতে আসবে? বঙ্গোপসাগর ছাড়া আমাদের কোন উপায় নাই।

সো, আবেগের আতিশায্যে ভাঙচুর করে নিজেদের অর্থনীতির বারোটা বাজায়েন না। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে একটা সামিট চলতেছে। বাঘা বাঘা বিদেশি কোম্পানির লোকজন এখন ঢাকায়, এরা যদি বিনিয়োগ করতে রাজি হয়, আমাদের দেশের অর্থনীতি পাল্টাইয়া যাবে।

অর্থনীতি পাল্টাইলে আর্মির শক্তি বাড়বে। আমাদের কেউ ফিলিস্তিন বানানোর কথা চিন্তা করার আগে দশবার ভাববে। 

এই মুহূর্তে এই নিরাপত্তাটাই আমাদের দরকার, বিশ্বাস করেন।

ভাঙচুর-ভাঙচুর খেলে ফিলিস্তিনের তো কোন ফায়দা করতে পারবেনই না, উল্টো নিজেদের ফিলিস্তিন হওয়ার পথটা নিজেরাই উন্মুক্ত করবেন আর কী!!

এই মব জাস্টিস বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যদি সাধারণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে যায় তাহলে আমেরিকা কি করবে জানেন? পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের আতুরঘর বলে আখ্যা দিবে। জঙ্গি নিধনের নামে বঙ্গোপসাগরের আশপাশে ঘাটি গাড়বে। ভারতের জলসীমা অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবে। ভারত এমন পরিস্থিতিতে একপায়ে রাজী। বাকিটা আপনি গভীরভাবে ভাবলেই ভবিষ্যৎ বলতে পারবেন। তাই এখনি আমাদের আসন্ন ষড়যন্ত্র থেকে সাবধান ও সতর্ক হতে হবে। 

Next Post Previous Post