ইতালিতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত বাংলাদেশি যুবক নাহিদ মিয়া
ইতালির রোম শহরের আরদিয়ার টর সান লরেঞ্জো এলাকায় এক মর্মান্তিক ডাকাতির ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিক নাহিদ মিয়া (৩৫)।
![]() |
| ইতালিতে ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত |
মঙ্গলবার (২৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে ভিয়া ডেলে পিনেতে অবস্থিত টয়েল গ্যাস স্টেশনের সামনে ছুরিকাঘাত করা হয় তাকে। ঘটনার পরপরই মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় দুই হামলাকারী, যাদের পরিচয় শনাক্ত করতে খুঁজছে ইতালীয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, দুই দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে হামলা চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ এবং রোমের অপরাধ তদন্ত বিভাগের চৌকস দল তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় অপরাধ তদন্তকারী ইউনিট প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সেইসাথে ভেলেট্রি পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের প্রতিনিধির অভিযোগপত্রের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের খুঁজতে ও দ্রুত গ্রেফতার করতে তাঁরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে।
![]() |
| স্বস্ত্রীক নিহত নাহিদ মিয়া |
দুই সন্তানের জনক নাহিদ মিয়া—এক বছরের কন্যা ও পাঁচ বছরের পুত্র সন্তান রেখে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার স্ত্রী রিতা রহমান বৃষ্টি এবং তাঁর পরিবার আরদিয়ার প্রো লোকো এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতেন।
রোমে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত নাহিদ শুরুতে কনকা ডি’ওরো এলাকায় ওয়েটারের কাজ করতেন, এরপর ভিয়ালে মার্কোনির একটি সার্ভিস স্টেশনে চাকরি নেন। ২০২১ সালে তিনি পরিবারসহ টর সান লরেঞ্জো এলাকায় চলে আসেন এবং টয়েল গ্যাস স্টেশনে পরিচালকের পদে কর্মজীবন শুরু করেন।
নিহত নাহিদের বেড়ে ওঠা ও শিক্ষা জীবন শুরু করেছিলেন টাঙ্গাইল জেলার ভূঁইয়াপুর উপজেলার ইব্রাহিম খাঁ কলেজে। ইতালিতে তার আরো দুই ভাই রয়েছেন।
এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকলেই একবাক্যে দাবি জানিয়েছেন—নাহিদ মিয়ার হত্যার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্যসূত্র: Ilmessaggero
লিংক: https://www.ilmessaggero.it/en/gas_station_tragedy_in_ardea-8862147.html