ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ সন্তানকে হারিয়েছেন, তবু সেবা দিচ্ছেন গাজার নারী চিকিৎসক
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জার। শুক্রবার হাসপাতালে কাজে যাওয়ার সময় কল্পনাও করতে পারেননি, তার সন্তানদের আর জীবিত দেখবেন না তিনি।
![]() |
| ৯ সন্তানকে হারিয়েও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন গাজার নারী চিকিৎসক আলা আল নাজ্জ্বার |
হাসপাতালে যাওয়ার পরপরই খান ইউনুসের পূর্বে কিজান আল-নাজ্জার মহল্লায় তাদের বাড়িতে আঘাত হানে ইসরাইলি মিসাইল। সে সময় বাড়িতে ছিলেন ডা. আলার স্বামী ডা. হামদি আল-নাজ্জার ও তাদের ১০ সন্তান। হামলায় ১০ সন্তানের ৯ সন্তানকেই হারিয়েছেন ডা. আলা। হামলায় আহত হয়ে ডা. হামদি ও তাদের এক সন্তান নাসের হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান ডা. আহমদ আল-ফাররা আলজাজিরাকে জানান, হামলায় ডা. হামদি গুরুতর আহত হয়েছেন। বুকে ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বেঁচে যাওয়া একমাত্র সন্তান ১১ বছর বয়সি ছেলে আদম গরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ডা. আহমদ আল-ফাররা বলেন, এ হামলার কথা শুনে ডা. আলা যেভাবে শোকাহত হয়েছেন তা কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। তিনি এখন তার স্বামী ও সন্তানের পাশে থেকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বিমান হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ডা. আলার ১২ বছর থেকে সাত মাস বয়সি সন্তান সিদার, লুকমান, সাদিন, রিভাল, রুসলান, জুবরান, ইভ, রাকান ও ইয়াহিয়া।
ডা. আহমদ আল-ফাররা সারা বিশ্বের মানুষকে 'মানবতার সঠিক পক্ষে' থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, 'এ শিশুরা আর কথা বলতে পারবে না। তাদের মাও শোকাহত।'
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন